Remove লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ Defination

Use this form to report definitions that...
  1. Not Suitable for Dictionary
  2. Offensive Content
  3. Misleading Etymology
  4. Typographical Error
  5. Grammar Mistake
  6. Ambiguous Meaning
  7. Duplicate Entry
  1. Incorrect Part of Speech
  2. Regional Variation Not Specified
  3. Inconsistent Formatting
  4. Incorrect Translation
  5. Cultural Sensitivity Issue
  6. Incorrect Definition
  7. Spelling Error
  1. Outdated Usage
  2. Missing Information
  3. Inappropriate Example Sentence
  4. Redundant Entry
  5. Incorrect Pronunciation
  6. Not a Real Word
You chose: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

কালেমার অর্থ,

কোন ইলাহ মানি না আল্লাহ ছাড়া। অর্থ্যাৎ আল্লাহ ছাড়া কারো আনুগত্য মেনে কাজ করব না।

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا نُوْحِيْۤ اِلَيْهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدُوْنِ

আর তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই ওহী নাযিল করিনি যে, ‘আমি ছাড়া কোন ইলাহ/আনুগত্য মেনে কাজ পাওয়ার যোগ্য কেও নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদাত/ আনুগত্য মেনে কাজ কর।’

Al-Anbiya 21:25

পৃথিবীতে যত নবী ছিলেন, তাদের সকলের বার্তা ছিল এই একটাই— আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, /শুধু আল্লাহর আনুগত্য মেনে চলতে হবে।

এখন প্রশ্ন হলো আল্লাহ ছাড়া যদি আপনি কারো আনুগত্য না মানেন, তাহলে দুনিয়াতে চলবেন কিভাবে? এই প্রশ্নটা আরবদেরও ছিল -

اَجَعَلَ الْآلِهَةَ إِلٰهًا وَاحِدًا ۚ إِنَّ هٰذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ
সে কি সকল ইলাহকে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? নিশ্চয় এ তো এক আশ্চর্য বিষয়!’
[আল কোরআন,
সাদ ৩৮:]

যে পরিস্থিতিতেই পড়েন না কেন, সেই বিষয়ের জন্য কুরআনের দিকনির্দেশনা রয়েছে। এই কারণেই কুরআনে অনেক নবীর জীবনী বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। যেহেতু আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো আনুগত্য করার সুযোগ নেই, সুতরাং কালেমা প্রতি কাজেই আপনাকে কুরআনের কাছে যেতে বাধ্য করবে যে, এই কাজের জন্য কুরআনে কী নির্দেশনা আছে, ঐ কাজের জন্য কী নির্দেশনা আছে।

আল্লাহ বলেন:

ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে ইসলামকে পছন্দ করলাম।
আল-মায়িদাহ :

তাহলে বলা যায়, কখনো কুরআন সরাসরি করণীয় বলে দেয়, কখনো কাজের কৌশল বলে দেয়। আপনি যাই করুন, কুরআনের রেফারেন্সে কাজ করতে হবে। এই কারণে, কালেমাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী বাক্য। যা তার বাবা-মা, নেতা, সরকার সহ সকলের আনুগত্য অস্বীকার করে।

তেমনিভাবে আলেমদের আনুগত্য, জাল হাদিসের আনুগত্য, যেটার ব্যাপারে আল্লাহ কোনো প্রমাণ নাজিল করেননি, সেটার আনুগত্যও করা যাবে না।

اِتَّخَذُوْۤا اَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَالْمَسِيْحَ ابْنَ مَرْيَمَ ۚ وَمَاۤ اُمِرُوْۤا اِلَّا لِيَعْبُدُوْۤا اِلٰـهًا وَّاحِدًا ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ سُبْحٰنَهٗ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

যে বিষয়ে আল্লাহ নিজেকে রব দাবি করেছে, সেবিষয়ে তারা আল্লাহর পরিবর্তে তাদের (ধর্মীয় আলেম) যাজক ও পাদ্রীদেরকে এবং মরিয়মের পুত্র ( তাদের নবী ঈসা) মসীহকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে।অথচ তাদেরকে একেবারেই  কোন নির্দেশ দেওয়া হয় নাই  যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে। (কেননা), আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ ( বা আনুগত্য মেনে কাজ পাওয়ার যোগ্য কেও) নাই। আল্লাহ সকল অযোগ্যতা থেকে মুক্ত, তা সত্বেও  তারা আল্লাহর সাথে অনেককে অংশীদার করে।
(আল-কুরআন, আত-তাওবাহ ৯:৩১)

এখন আপনি যদি মনে করেন আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ইলাহ মানবেন অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইলাহ মানবেন, তাহলে আল্লাহ বলেন:

الَّذِيْ جَعَلَ مَعَ اللَّهِ إِلٰهًا آخَرَ فَأَلْقُوهُ فِي الْعَذَابِ الشَّدِيدِ
যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ গ্রহণ করেছিল, তাকে কঠিন আযাবে নিক্ষেপ কর।
কাফ ৫০:২৬

আমরা অনেকেই মনে করি, আল্লাহ কুরআনে বাবা-মা, নেতা, হাসবেন্ডদের আনুগত্য করতে বলছেন। কিন্তু কুরআনের কোথাও আপনি তা খুঁজে পাবেন না।

সবাই উদাহরণ হিসেবে একটি আয়াত নিয়ে আসে, সেটি হল:

يٰٓاَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ
হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে আদেশকারী অভিভাবকদের।
আন-নিসা :৫৯

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন আদেশ? অভিভাবকরা যদি মূর্তিপূজা করতে বলে, করবেন?

এটি হচ্ছে সেই আদেশ যা আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশের মধ্যে থাকে। যে আদেশ, কুরআনের বিপক্ষে যায় না।

এই আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে, আরব সরকারসহ অনেক নামধারী মুসলিম শাসক তাদের অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলা হারাম ঘোষণা করেছে। নেতা, শাসক, অভিভাবক কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পরও যদি আমরা কথা না বলি, তাহলে মূসা নবীসহ সকল নবী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন কেন?

মনে রাখবেন, কুরআনের প্রতিটি আয়াতের স্বপক্ষে রেফারেন্স আয়াত থাকে। যদি কোনো আয়াত অন্য আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়, বুঝতে হবে কোথাও আপনার বুঝার ভুল হচ্ছে।

আল্লাহ বলেন:

وَأَقِيمُوا الشَّهَادَةَ لِلَّهِ
আল্লাহর জন্য সাক্ষ্য (দুনিয়াতে) বাস্তবায়ন করো।
আত-তালাক ৬৫:

এখন প্রশ্ন হলো কোন সাক্ষ্যআপনি ন্যায়ের পথে  যে সাক্ষ্য দেন সকল সাক্ষ্যই এর অন্তর্ভুক্ত। আর, মুমিনের সবচেয়ে বড় সাক্ষ্যই হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহঅর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কারো আনুগত্য মানা যাবে না এই সাক্ষ্যটি যেটি জেনে বুঝে ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে ইমান আনতে হয় সুতরাং এ সাক্ষ্যকে দুনিয়ার জীবনে বাস্তবায়ন করা আপনার আমার সবার জন্য ফরজ।

এই সাক্ষ্য বাস্তবায়নের অর্থ হল- মুখে যে ঘোষনাটা দিচ্ছেন- আল্লাহ ছাড়া কারো আনুগত্য মানেন নাব্যক্তি জীবনেও কুরআনের দিকনির্দেশনার বাহিরে কোন কাজ করা যাবে না। সমাজেরাষ্ট্রে এমনকি সারাপৃথিবীর মানুষ যাতে শুধুমাএ এই কালেমার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকেতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাইতে হবে।

আর এই কালেমার সাক্ষ্যটি দুনিয়াতে বাস্তবায়ন করতে পারলে সকল অশান্তির অবসান হবে।

সরকার যদি পুলিশকে আদেশ দেয়নিরাপরাধ মানুষকে গুলি করতেপুলিশ তা করবে নাযদি করে সরকার ইলাহ হয়ে যাবে। মানুষ যখন এই ভাবাদর্শ লালন করবেতখন কোন সরকার স্বৈরশাসক বা তাগুত হতে পারবে না।

আপনার স্ত্রী আপনার বাবা-মায়ের দেখাশোনা না করতে বললেআপনি তা শুনবেন না। শুনলে আপনার স্ত্রী আপনার ইলাহ হয়ে যাবে।

আপনি আপনার স্ত্রীর কাছে যৌতুক চাইলেসে আপনাকে মানবে না।

আপনার বাবা-মা আপনার কাছে অন্যায় আবদার করলেআপনি শুনবেন নাশুনলে বাবা-মা ইলাহ হয়ে যাবে।

কালেমা প্রতি কাজে আপনাকে কুরআনের কাছে যেতে বাধ্য করবে।

এখনকালেমায় যে সাক্ষী দেনসেটা কিভাবে কায়েম/বাস্তবায়ন করবেন?

সোজা উত্তরআল্লাহর জমীনে আল্লাহ ছাড়া মানুষ কারো আনুগত্য যাতে না করে তার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

রাসুলের জীবনী থেকেও আমরা জানি যেরাসুল শুধুমাত্র একটি জিনিসের দিকে মানুষকে দাওয়াত দিয়েছেন। মক্কার সকল নেতাকে উদ্দেশ্য করে রাসুল (স) বলেছেন:

فَقَالَ رَسُولُ اللهِنَعَمْ، كَلِمَةٌ وَاحِدَةٌ تُعْطُونِيَهَا تَمْلِكُونَ بِهَا الْعَرَبَ، وَتَدِينُ لَكُمْ بِهَا الْعَجَمُقَالَفَقَالَ أَبُو جَهْلٍنَعَمْ وَأَبِيكَ، وَعَشْرَ كَلِمَاتٍقَالَتَقُولُونَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَتَخْلَعُونَ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِقَالَفَصَفَقُوا بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ قَالُواأَتُرِيدُ مُحَمَّدُ أَنْ تَجْعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا؟ إِنَّ أَمْرَكَ لَعَجَبٌ.

"যদি তোমরা আমাকে একটি কথা মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার দাও তাহলে তোমরা সেই একটি কথার মাধ্যমে গোটা আরব বিশ্বের মালিক বনে যাবে এবং অনারব বিশ্ব হয়তো তোমাদের দ্বীন/তোমরা যা মেনে চল তা গ্রহণ করবে অথবা তোমাদের কর দিয়ে থাকবে।" এ কথা শুনে আবু জাহল বললো, "অবশ্যই! তোমার পিতার কসমআরো দশটি কথা মানবো।" রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, "সেই একটি কথা হলো তোমরা বলবে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'/ আল্লাহ ছাড়া কারো আনুগত্য মেনে কাজ করব না। এক আল্লাহর ইবাদত/আনুগত্য মেনে কাজ করবে। আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছুর ইবাদত/আনুগত্য মেনে কাজ করা হয়সবকিছুকে ত্যাগ করবে।" এ কথা শুনামাত্র সকলেই হাতে তালি দিতে শুরু করলো আর বললো, "হে মুহাম্মাদতুমি কি আমাদের সকল ইলাহকে/যাদের আনুগত্য মেনে কাজ করা হয় এমন সকলকে এক আল্লাহতে কেন্দ্রীভূত করতে চাওতোমার ব্যাপারটি বড় আশ্চর্যজনক।" (সীরাত ইবনে হিশাম ১ম খণ্ডপৃঃ ৪৮০)

মক্কার লোকেরা এই যে কালিমার বিরোধিতা করেছিলএটা কিন্তু তারা জেনে বুঝেই করেছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল যে এই কালিমা গ্রহণ করার অর্থ হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো আনুগত্য করা যাবে না। আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে কোনো নেতা-নেত্রীর আনুগত্য করা যাবে না। আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে মানবরচিত কোনো আইন-বিধান মানা যাবে না। ব্যক্তি জীবনেপারিবারিক জীবনেসামাজিক জীবনেরাষ্ট্রীয় জীবনেআন্তর্জাতিক জীবনেব্যাংকেআদালতেব্যবসা-বাণিজ্যে সকল ক্ষেত্রে এক আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করতে হবে।

আবারযেমনি ভাবে ,

বর্তমানে ক্ষমাতাসীন বেশীরভাগ মানুষ নিজ নিজ জায়গায় ইলাহের আসনে বসে আছে-পরিবারেসমাজেঅফিসে,রাজনৈতিক দলেপার্লামেন্টেসরকারে,

 তেমনিভাবে ,

তৎকালীন আবু জাহেলআবু লাহাবআবু সুফিয়ানরাও ইলাহের আসনে বসে ছিল তারা জানতোএর বিরোধীতা না করলে তাদের ক্ষমতা হারাতে হবে কেননা কালেমা আল্লাহ ছাড়া সকলের আনুগত্য অস্বীকার করে এই কারনেসকল নবী রাসুল সহ যেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর দাওয়াত দিয়েছেতাদের সর্বপ্রথম বিরোধিতা করেছিল সেখানকার তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা যারা মুলত নিজেদেরকে ইলাহের আসনে বসিয়ে রেখেছিল । এই কারনেএসবকিছু বুঝে-শুনেই তারা বিরোধিতা করেছিল। পবিত্র কুরআনে তাদের বক্তব্যকে সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নের আয়াতে বলা হয়েছে:

أَجَعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ

"তবে কি সে সকল ইলাহগুলোকে এক ইলাহতে কেন্দ্রীভূত করে ফেললএতো অত্যন্ত আজব কথা।" (সোয়াদ৩৮: ৫)

অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের মূল পার্থক্য হল—ইসলাম বলে এক আল্লাহরই আনুগত্য করতে হবেঅন্য ধর্ম বলে—আল্লাহর আনুগত্যও মানবো এবং অন্যদের কথাও মানবো। কিতাবুল ইমান (২য় সংস্করণ পৃষ্ঠা: ১১২ থেকে ১১৩) মুফতী মুহাম্মদ জসীমুদ্দীন

ইলাহ অর্থ আল্লাহ নয়আর এক আল্লাহতে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস তখনো করতো এবং এখনো করে।

আবারআল্লাহ বলেন:

وَلَئِن سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللّٰهُ

"যদি তুমি তাদেরকে (মুশরিকদের) জিজ্ঞেস করো: কে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং চাঁদ-সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করছেনতারা অবশ্যই বলবে: আল্লাহ!" (আনকাবুত ২৯:৬১)

আরো পাবেন এই নিম্নের আয়াতগুলোতে:

  • Az-Zukhruf ৪৩:৮৭
  • Az-Zumar ৩৯:৩৮
  • Surah Luqman ৩১:২৫
  • Surah Jumar ৩৯:৩৮

অমুসলিমরাও সর্বশক্তিমান এক আল্লাহতেই বিশ্বাস করে। তবে মুসলিমদের এক আল্লাহর বিশ্বাস এবং অমুসলিমদের এক আল্লাহর বিশ্বাস এক নয়কারণ ইসলাম বলে এক আল্লাহরই আনুগত্য করতে হবেঅন্য ধর্ম বলে—আল্লাহর আনুগত্যও মানবো এবং অন্যদের কথাও মানবো।

وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللّٰهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ

"তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করেকিন্তু (ইবাদাতে) আল্লাহর সাথে অন্যদের অংশীদার করে অনেককে" (ইউসুফ ১২:১০৬)

আল্লাহকে বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করে। কিন্তু আল্লাহ একজন আছেন শুধুমাত্র এই বিশ্বাসের নাম ইমান নয়। ইমান হল—আল্লাহ ছাড়া কারো আনুগত্য মেনে কোন কাজ করা যাবে নাএই বিশ্বাস মজবুতভাবে ধারণ করা।

কেউ যদি কোনো ভালো কাজের কথা বলেতখনও কি তার আনুগত্য করা যাবে না?

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ

"সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।" (আল-মানিদাহ ৫:২)

যে কোনো ভালো কাজে সহযোগিতাএটা আল্লাহর নির্দেশ। তাইআপনাকে চিন্তা করতে হবেযে ভালো কাজ করতে বলেছেআপনি তার আনুগত্য করতেছেন নাবরং আল্লাহ অনুমতি দিয়েছে বলেই তার কাজে সহযোগিতা করছেন।

আমরা রাসুলের দেখানো পথে আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম কেন করিকারণ আল্লাহ অনুমতি দিয়েছে বলেই করিনা হয় করতাম না। তাই রাসুলের দেখানো পথে চলাএটাও আল্লাহর আনুগত্যেরই অংশ।

Why should this definition be removed?